টেস্ট সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বলা চলে গায়ানায় প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোন সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্কতার ছাপ, বল হাতেও ছিল সুপরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
সবমিলিয়ে গেইল-রাসেলদের ঘরের মাঠেই ৪৮ রানের দাপুটে জয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। এই জয়ের পর অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন টাইগারদের এই পারফরম্যান্স। তবে দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের মতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্রিকেট খেলতে পারাটাই মূলত সিরিজের প্রথম ওয়ানডের বড় পাওয়া।
কন্ডিশন বুঝে বোলিং করায় বোলারদের সাবাশি দেন সুমন। উইকেটের চরিত্র বুঝে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করতে পারায় তাদের প্রশংসা করতে ভোলেননি সাকিব-তামিমদের এই পূর্বসুরি। কেউই তাড়াহুড়োয় উইকেট বিলিয়ে দেয়নি বলে খুশির আভা দেখা যায় তার চোখে-মুখে। উইকেটের অবস্থা ও ম্যাচের কন্ডিশন বুঝে সাকিব-তামিম জুটি গড়ায় আবারো তাদের প্রতি স্তুতি প্রকাশ করেন জাতীয় দলের নির্বাচক।
সুমন বলেন, ‘ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটা ছিলো যে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে খেলতে পেরেছি। আপনি দেখলে হয়তো জানেন যে প্রথম ১০ ওভারে আমাদের রান ছিল মাত্র ৩০ রান। এটা আমাদের খেলা নয় অবশ্যই। সাকিব-তামিম দুজনই স্ট্রোক প্লে করতে ভালোবাসে। কিন্তু উইকেট থেকে সুবিধা পাচ্ছিল না বলেই ধরে খেলেছে।’
‘আমি খুশি এই কারণে যে কেউই অযথাই মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেনি। সবাই পরিস্থিতি বিচেচনা করতে পেরেছে। এমন উইকেটে শুরুতে রান না আসলেও পরে সেটা পুষিয়ে দেয়া যায়। সাকিব-তামিম যদি ৪০ ওভার পর্যন্ত না খেলতো তাহলে মনে হয় না আমাদের এতো রান হতো। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন ছিল উইকেট। আমার মতে পরিস্থিতি বুঝে খেলতে পারাটাই ছিল ম্যাচের সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে যাওয়া মানেই সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে নেয়া। বাংলাদেশের সামনেও এখন সহজ সুযোগ ২০০৯ সালের পর আবারো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে সিরিজ জিতে নেয়ার। তবে হাবিবুল বাশার এখনই সিরিজ জয় নিয়ে ভাবতে রাজি নন।
এর চেয়ে বরং দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলে নিজেদের খেলার উন্নতি ঘটবে ও আত্মবিশ্বাসে যে একটা হাওয়া লাগবে, সেদিকেই বেশি নজর সুমনের। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনই সিরিজ জেতা-হারা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা ঠিক হবে না। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতা মানেই অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটা বেশ ভালো। আমাদের পরের ম্যাচ জিততে হলে উন্নতির ধারা বজায় রাখতে হবে।’