কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১৯ বছরে পা দিলেও এক ব্যক্তি চশমা ছাড়াই খালি চোখে স্বাভাবিকভাবে পত্রিকা পড়াসহ সব ধরনের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। যে বয়সে তার শেষ সম্বল লাঠি হাতে নিয়ে চলা ফেরা করার কথা ঠিক সেই সময়ে সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় এলাকায় মানুষের কাছে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
বার্ধক্য তাকে হার মানাতে পারেনি। বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি তার কাজকর্মে। তিনি কোন কাজে মনো নিবেশ করলেই আশ-পাশের মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় শুরু করে দেন।
এমই এই সাদা মনের মানুষটির নাম মোঃ জোবেদ আলী। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর হলেও তার বয়স হয়তো আারো বেশী হবে। তিনি উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র।
তাঁর স্ত্রী ফয়জুন নেছা(৮৭), ৩পুত্র ও ৪কন্যা সহ নাতি-নাতিনী সহ বহু বন্ধু-বান্ধব ও গুনগ্রাহী রয়েছে।
৯জানুয়ারী বুধবার দুপুরে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোর ঠিক বয়স মনে নেই, তবে আইডি কাডত যা আছে তার চেয়ে বেশী হবে। ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের দিঘীর মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তৈল, রাসায়নিক সার বিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন। এই বয়সে তাঁর ছোট খাট জ্ব্বর-সর্দি ছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যধি হয় নাই।
শরীর এখনও তাঁর ভাল আছে। তিনি একশ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তাই তিনি নিয়মিত পবিত্র কুরআন-মাজিদ, পত্রিকা ও বই পড়তে পারেন। রাতে তিনি কুপি জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন-মাজিদ পড়েন।
তিনি আরো বলেন, কোনদিন ফজরের নামাজ আমি ক্বাজা করি নাই এবং ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলোয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ্ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এজন্য আল্লাহ্র কাছে লাখো শুকরিয়া।
এ ছাড়া পত্রিকা পড়াই তার এখন প্রধান নেশা বলে জানান। এ বিষয়ে রাজারহাট ইউপি সদস্য শমশের আলী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই জোবেদ জ্যাঠোকে এই অবস্থায় দেখে আসছি। এখনো তিনি আগের মতোই চলাফেরা করেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।এফএনএস।।