প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ-সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়য়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়।
এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য ফের পিছিয়ে মার্চে নেয়া হয়।
এবার পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা নিতে ইতিমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষার শেষ করা হবে।
এবার প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২৪ লাখের বেশি চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেছেন।
সারা দেশে ১২ হাজার আসনের বিপরীতে তারা এ ভর্তিযুদ্ধে বসবেন।
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে।
এ কারণে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার আলোকে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস ও পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস চাওয়া হয়।
লিখিত পরীক্ষায় আসনপ্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুই নারী) নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রার্থীরা dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলি এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।