সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।
সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি দেওয়া হবে। নিয়োগ যোগ্যতা উন্নীত হওয়ায় আগামী বছরের ১৯ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার বেতন গ্রেডও উন্নীতকরণ করা হবে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদিরসহ শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড সমস্যা সমাধানের আগে নতুন করে আর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হবে না। আগামী দিন থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সব দায়িত্ব প্রাথমিকের মাধ্যমে হবে, পিএসসি দ্বারা নয়।
যেহেতু সামনে মুজিববর্ষ, তাই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের আগেই সব দাবি মানা হবে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষক নেতাদের মাধ্যমে সকল সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার আহ্বান জানান তিনি।
শুধুমাত্র তাই নয়, আপনারা (সহকারী শিক্ষকরা) যাতে প্রধান শিক্ষক পদের উপরের পদেও যেতে পারেন-সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
আপনারা যাতে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার বা শিক্ষা অফিসার কিংবা তার চেয়ে বড় পদে যেতে পারেন- সেই ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
বৈঠক উপস্থিত শিক্ষক নেতারা জানান, প্রাথমিকে শুধু সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ হবে। ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধি পরিবর্তন করে নতুন বিধি হবে।
এছাড়া সব পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগসহ সব বৈষম্য দূর করা হবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন গণশিক্ষা সচিব। এছাড়া বেতন বৈষম্যও আর থাকবে না।
উপস্থিত একাধিক শিক্ষক নেতা জানান, সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সফল বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের সব দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তী কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সচিবের আশ্বাসে নেই আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।