বিয়ে করার উপকারিতা

marrige-love

marrige-loveপুরুষদের একটা ধারনা আছে বিয়ে করলেই জীবনের সব সুখ শেষ। কিন্তু পরিসংখান বলছে, বিবাহিত পুরুষেরা শুধু দীর্ঘজীবীই হন না, তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন এবং সুখী মানুষও হন।

সাহেবরা একটি কবিতাকে আপ্তবাক্য হিসেবে মেনে চলেন। সেটি এই রকম: ‘লাভ অ্যান্ড ম্যারেজ, লাভ অ্যান্ড ম্যারেজ/গো টুগেদার লাইক আ হর্স অ্যান্ড ক্যারেজ/দিস আই টেল ইউ ব্রাদার/ইউ কান্ট হ্যাভ ওয়ান উইদাউট দ্য আদার’৷ সহজ বাংলায়, শুধু প্রেম করলেই হবে না, পাশাপাশি বিয়েটাও করে ফেলতে হবে৷ প্রেম এবং বিয়ে একেবারেই ঘোড়া এবং গাড়ির মতো।

সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী একা এবং অবিবাহিত পুরুষের তুলনায় বিবাহিত পুরুষের আয়ু অনেক বেশি৷ যে সব পুরুষ প্রেম করেন এবং বিয়েটাকে ক্রমশ পিছনে ঠেলতে থাকেন তাঁরা যে খুব নিশ্চিন্ত জীবন কাটান তা নয়৷ কারণ, অবিবাহিত প্রেমের মধ্যে নানা ধরনের টেনশন এবং স্ট্রেস জড়িত৷ অনেক কিছুই করতে হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যত্‍ মাথায় রেখে৷ এর মধ্যে ‘সেক্স’ একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

তার ফলেই মনের মধ্যে এসে ভিড় করে চাপ, শরীর এতেই নষ্ট৷ সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে শতকরা ৯৪ জন দম্পতি জানিয়েছেন, বিয়ের পর তাঁরা অনেক নিশ্চিন্ত৷ আরও বিস্ময়ের এই সব দম্পতিরাই যখন বাবা-মা হন, তখন তাঁদের জীবন আরও বেশি নিশ্চিন্ত হয়ে ওঠে৷ এমন বাবা-মা হওয়া শতকরা ৫৭ জন জানিয়েছেন, শুধু বিয়ের পরই নয়, বাবা-মা হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের যৌন-জীবন এখন অনেক বেশি মধুর৷ তাঁরা বিয়ের আগেকার দিনগুলো ভুলতে চান।

একটি সমীক্ষা জানিয়েছে বিশেষ করে পুরুষদের স্বাস্থ্য এবং জীবনের ওপর বিয়ের প্রভাব প্রায় সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার মতোই৷ এমনকী এক গবেষক তাঁর পত্রে জানিয়েছেন, ‘সিগারেট খেলে যে কোনও পুরুষ মানুষের আয়ু গড় পড়তা ৭ বছর কমে যায়, সেই পুরুষ বিয়ে করলে তার জীবনের সঙ্গে যোগ হয় বাড়তি ৭ বছর৷ আর মেয়েদের ক্ষেত্রে আয়ু বেড়ে যায় ৩ বছর।’

এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা সিঙ্গল, অথবা লিভ-ইন করেন, কিংবা কেউ আবার বিবাহ বিচ্ছিন্ন অথবা সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে৷ এঁরা কেউই সেই অর্থে চরম অসুখী না হলেও, এঁদের তুলনায় বিবাহিত মানুষেরা অনেক বেশি সুখী৷ এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সুখ নির্ভর করে পারিবারিক সম্পর্কের গুণাগুণের ওপর৷ কখনও তা রোজগারের ওপর নির্ভরশীল নয়।

অর্থ সব সময় মানুষকে সুখী করে না তুলতে পারলেও বিবাহ মানুষকে সুখী করতে পারে৷ দেখা গিয়েছে একাকিত্ব মানুষকে বিষণ্ণ এবং অসুখী করে তোলে৷ একা মানুষের তুলনায় যাঁরা বিয়ে না করেও একসঙ্গে থাকেন, দেখা গিয়েছে তাঁরা কিছুটা বেশি সুখী৷ কিন্ত্ত স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করেন যাঁরা তাঁরা মানসিক এবং শারীরিকভাবে তুলনায় অনেক ভালো থাকেন।

বিবাহিত জীবন শুধুই যে মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো করে তাই নয়, যাঁরা মানসিক স্বাস্থ্যের অসুস্থতায় ভোগেন তাঁদেরও সুস্থ করে তোলে। এক মার্কিন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিয়ের পর মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ করে পুরুষদের অনেক বেশি বেড়ে যায়৷ তুলনায় বিবাহ বিচ্ছিন্ন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ক্রমশ অবনতির দিকে এগোয়৷ সমীক্ষা আরও জানিয়েছে পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই বিয়ে ব্যাপারটা ডিপ্রেশন কমাতে সহায়ক।