প্রায় ১৭ বছর পর, জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদসহ দলটির পাঁচজন নেতা কর্মীকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামীর আজ রাতে ফাঁসি কার্যকর করার কথা রয়েছে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এই দণ্ড কার্যকর হবে।
যশোর কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক শাহজাহান আহমদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি রয়েছে।
যশোর থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনদের কারাগারে দেখা করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার কারাগার থেকে মৃতদেহ বুঝে নেয়ার জন্যও তাদের জানানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের রাজনগর গ্রামের হাবিবুর রহমান, কুর্শা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সভা চলার সময় ব্রাশ ফায়ারে জাতীয় সমাজতান্দ্রিক দল- জাসদের পাঁচজন নেতা নিহত হন।
দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ ছাড়াও নিহত হন তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরায়েল হোসেন এবং শমসের মণ্ডল।
ওই হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর, ২০০৪ সালের ৩০ অগাস্ট ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কুষ্টিয়া জেলা জজ।
তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে, ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন, একজনকে খালাস দেন ও ১২ জনের সাজা মওকুফ করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে, ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেই আদেশ দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়।
পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছে আর একজন কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।