বাগেরহাটে দুই কিশোরীর বিরল প্রেম

deshi-lesbian

deshi-lesbian‘ভালোবাসা কোন জাত কুল মানেনা’ সে কথা কমবেশি সবাই জানি আমরা। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে সমলিঙ্গে প্রেমের ঘটনা খুব স্বাভাবিক । এমনকি পৃথিবীর অনেক দেশেই সমলিঙ্গে বিয়ে পর্যন্ত স্বীকৃত। কিন্তু আমাদের চিরচেনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও যদি এমন ঘটনা দেখি তাহলে চমকাতে যে হবেই সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এবার তেমনি পিলে চমকানোর মতই এক ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।

বাড়ৈর মেয়ে গৌরী (১৬)র সঙ্গে প্রতিবেশী সালাউদ্দিনের কন্যা খাদিজা আক্তার (১৫) বান্ধবী সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময়েই। দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়ার মাধ্যমে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তখন স্বাভাবিকভাবে নেয় দুই পরিবারের লোকজন। কিন্তু তাদের এ সম্পর্ক একটা সময়ে এসে এমন পাগলামীতে রুপ নেবে তা কখনো ভাবেনি দুই পরিবার। সম্পর্কে বাঁধা আসলে শেষ অবধি এলাকাবাসী ও দুই পরিবারকে অবাক করে দিয়ে তারা দু’জনে বাড়ি থেকে পালিয়েও যায় অজানার উদ্দেশ্যে। পরিবারের লোকজন শত চেষ্টায়ও কোনোভাবে ফেরাতে পারছে না তাদের।

ঘটনাস্থল বাগেরহাটের চিতলমারি উপজেলার নিভৃত একটি গ্রাম কুড়ালতলায়। ঘটনার নায়িকা একজনের নাম খাদিজা অন্যজন গৌরি। তথাকথিত আধুনিকতার স্পর্শ নেই গ্রামজুড়ে। স্থানীয় অধিবাসিরা খুব একটা শহরমুখি নয়, এমন ঘটনায় তাই বিস্মিত সবাই। এ দুই কিশোরীর প্রেমের বিরল কাহিনী এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচনা সমলোচনা রয়েছে। একটি মেয়ের সাথে আরেকটি মেয়ের গভীর প্রেম। কি সম্পর্ক রয়েছে তাদের মধ্যে এমনই প্রশ্ন এলাকার এখন সবার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।

গৌরী ও খাদিজা দুজনই সমবয়সী। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় একে অপরের কাছে আসা-যাওয়া দীর্ঘদিন ধরে। পরিবার এলাকাবাসী জানতো তারা দুই জন শুধুই বান্ধবী। কিন্তু দুই জনের প্রেম ভিন্ন মাত্রায় চলে যাওয়ায় তা নিয়ে প্রতিবেশীদের হাজারো প্রশ্ন, কৌতুহল আর সমালোচনার মুখে দারুণ দুশ্চিন্তায় পড়েছে দুই কিশোরীর পরিবার।

প্রতিবেশি হবার সুবাদে প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি থেকেই আর দশজন বান্ধবীর মত দুজনের দারুণ সখ্যতা ছিলো। ধীরে ধীরে সেই ভালো সম্পর্কের সুবাদে একজনের আরেকজনের বাড়িতে গিয়ে একসাথে থাকা, লেখা-পড়া করা অথবা ঘুমানোর ব্যাপারটা নিয়েও কেও ব্যতিক্রম কিছু ভাবেনি। পরিবারের ভাষ্যমতে, শুরুর দিকে দুজন বান্ধবীর মধ্যে এমন সম্পর্ক থাকাটাকে খুবই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলেন তারা ।

কিন্তু প্রাইমারীর গন্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলের এসে দুজনের মেলামেশা কিছুটা অস্বাভাবিক ভাবে দেখতে শুরু করে দুই পরিবার সহ আশেপাশের মানুষজন। এ নিয়ে আগে থেকেই নাকি বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা ছিলো। বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে তাদের পরিবারও ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, সাধারণত ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দুটি মেয়ের মধ্যে এমন গভীর প্রেমের সম্পর্ক সন্দেহজনক ভাবেই দেখছেন তারা । গৌরী আর খাদিজার সম্পর্কটা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ‘কৌতুহল’ তাই ‘এক কান দু কান’ করে শুধু সেই এলাকাতেই নয় আশেপাশের কয়েকগ্রাম ছাড়িয়ে শহর পর্যন্ত আলোচনার বিষয় ।

নিখাদ বান্ধবী সম্পর্কের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে এই ‘অদ্ভুত’ দুই কিশোরীর সম্পর্কটা তুমুল আলোচিত হতে শুরু করে যখন দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুজনের মেলামেশায় বাঁধা সৃষ্টি করা হয়। এরপরেই ডানা মেলতে থাকে তাদের ব্যতিক্রমী প্রেমের ডালপালা। পরিবারের বিরুদ্ধাচারন করেই স্পস্ট জানিয়ে দেয় দুই কিশোরী তারা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে না। মরলে এক সঙ্গে আর বাচলেও এক সঙ্গে। এমনকি বিয়ে করে স্বামীর সংসারও করবে না।’

প্রতিবেশিদের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে শত চেষ্টায়ও কোনোভাবে আলাদা করা যাচ্ছে না তাদের। এক মুহূর্তের জন্য তারা একজন আরেকজনকে ছেড়ে দুরে যেতে রাজি নয়।

দুই কিশোরীর পরিবারের দেয়া তথ্যমতে এলাকাবাসী জানায়, এ পরিস্থিতিতে মহাবিপাকে পড়েছে পরিবার দুটি। গৌরী ও খাদিজা দুই পরিবারের কাছে দাবি করে বলেছেন, ‘সারা জীবন আমরা একসঙ্গে বসবাস করতে চাই।’ দুই জন দুজনকে খুব ভালোবাসে বলে জানায় তারা। বাকি জীবনও একসঙ্গে কাটাতে চায় দুজনে। এমনকি বিয়ে করে স্বামীর সংসার করতেও রাজি নয় তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গৌরীর পিতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বললেও স্থানীয় প্রতিবেশীদের ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ এমন মেয়ে যেন আর কারো না হয়। মেয়েকে ফেরানোর জন্য মাসখানেক আগে তাকে ভালো পাত্র দেখে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে স্বামীর ঘরে না গিয়ে খাদিজার কাছে ঢাকায় গিয়ে উঠেছে। সেখান থেকে অনেক কৌশলে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হলেও সে আর স্বামীর ঘরে যেতে চাইছে না। তাকে অনেক বুঝিয়েও খাদিজার কাছ থেকে ফেরানো যাচ্ছে না। মেয়েকে নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় আছেন। আবার সুযোগ পেলে সে পালিয়ে যাবে বলে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে।’

অন্যদিকে, এ ব্যাপারে খাদিজার মা ফাতেমা বেগম জানান, তার মেয়েকে গৌরীর কাছ থেকে আলাদা করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল কিন্তু ফোনে যোগাযোগ করে গৌরী সেখানে তার কাছে গিয়ে ওঠে। মেয়েকে নিয়ে তারা পড়েছেন মাহাবিপদে এমনটি বলেছেন ফাতেমার মা। এই দুই কিশোরীকে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও হচ্ছে।

দুই কিশোরীর ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এমন সম্পর্ককে অশনিসংকেত উল্লেখ করে স্থানীয় কবির শেখ জানান, এই ঘটনা থেকে সামাজিক অবক্ষয় হবার সম্ভাবনা লক্ষ করছি। এমন ঘটনা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার সাথে অসামাঞ্জস্যপুর্ন। এই ঘটনা যত ছড়াচ্ছে তত মানুষের কৌতুহল বাড়ছে। একইসাথে এই ঘটনা পত্রিকায় না প্রকাশেরও অনুরোধ জানান তিনি ।


## এবার কারাগারে সুন্দরী প্রতিযোগিতা!

## সকল সুবিধাসহ গার্লফ্রেন্ড ভাড়া মাত্র ১৬০ টাকায়

## পাথর কুড়িয়ে লাখপতি

## এবার বাজারে এলো স্বর্ণের ব্রা!

## মরিচ-ই যার একমাত্র খাবার!

## এবার গরুর সুন্দরী প্রতিযোগীতা