দুই ম্যাচ আগেই ফতুল্লায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, ৫১ বলে খেলেছিলেন ১০৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সেই ফতুল্লাতেই এবার বল হাতে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিলেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্র অধিনায়ক, তুলে নিলেন ৬ উইকেট।
মাশরাফির বোলিং তোপে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১৯১ রানে। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি।
সোমবার ফতুল্লায় টস হেরে ব্যাট করতে নামা রূপগঞ্জের ১৯ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহিন হোসেন ও সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দেন কলাবাগান পেসার দেওয়ান সাব্বির। তৃতীয় উইকেটে ভারতীয় ব্যাটসম্যান জাজ্ঞিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিথুন।
ইনিংসের ২১তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই মিথুনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাশরাফি। প্রথম স্পেলে ৬ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্র অধিনায়ক।
দ্বিতীয় স্পেলে ১ ওভার বল করে দেন ৫ রান। ৪৪তম ওভারে তৃতীয় স্পেল করতে এসেই পরপর দুই বলে ২ উইকেট তুলে নেন মাশরাফি। সাজ্জাদুল ইসলামকে উইকেটরক্ষক জসিমউদ্দিনের ক্যাচ বানানোর পর নাহিদুল ইসলামকে করেন এলবিডব্লিউ।
চতুর্থ স্পেলে ২ ওভার বল করে নেন আরো ২ উইকেট। দুটিই ইনিংসের শেষ ওভারে। ওই ওভারের তৃতীয় বলে আলাউদ্দিন বাবুকে আবদুর রাজ্জাকের ক্যাচে পরিণত করার পর শেষ বলে মেহেদী হাসান রানাকে শরীফউল্লাহর তালুবন্দি করান মাশরাফি।
ম্যাচে মাশরাফির বোলিং ফিগার ১০-০-৪২-৬। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ৬ উইকেট নিলেন ডানহাতি এই পেসার। এর আগে ২০০৬ সালে নাইরোবিতে জাতীয় দলের হয়ে কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ২৬ রানে।
এবারের ঢাকা লিগের শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন মাশরাফি। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় আপাতত ২ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের সীমিত ওভারের অধিনায়ক।