বর্তমান বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার কে? উত্তরে বাংলাদেশের কাটার বয়ের নাম নাও আসতে পারে। কিন্তু স্লগ বা ডেথ ওভারের সেরা বোলারের প্রসঙ্গ আসলে সবার আগে যে নামটি চলে আসবে সেটা হলো, মুস্তাফিজুর রহমান। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে সবে এক বছর হয়েছে। সে অর্থে খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই তার। কিন্তু মাথা ঘাটিয়ে তিনি এমনভাবে বল করছেন যে, সেটা মনে হবারই নয়। ১০ বছরের অভিজ্ঞ বোলারকে তিনি পিছনে ফেলে দেন।
আইপিএলে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট টেকার নন। কিন্তু তারপরেও মুস্তাফিজই সেরা বোলার। ওভার প্রতি রান দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অন্যসব পেসারের চেয়ে যথেষ্ঠ কৃপন। সতীর্থ ভুবেনেশ্বর কুমার ২১ উইকেট নিয়ে আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট টেকার। কিন্তু ওভার প্রতি তিনি রান দেন ৭.৫৫। ১৬ উইকেট নিয়ে কুমারের চেয়ে অনেক নিচে থাকলেও মুস্তাফিজ ওভার প্রতি রান দেন মাত্র ৬.৭৩।
আইপিএলে ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় ফেলা দেওয়া বোলারটিও তিনি। অন্য যে কোন বোলারের চেয়ে তার বলে বেশি সতর্কতা দেখান ব্যাটসম্যানরা। এ কারণেই মুস্তাফিজ উইকেট কম পেয়েছেন।
বুধবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ২৮। উইকেটে না পেলেও শেষ দুই ওভারে মানে স্লগ ওভারে আবারও অসাধারণ বল করেছেন তিনি।
শেষ চার ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ৪৭। যথারীতি ১৭তম ওভারে বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। ওভারে প্রথম ৫টি বল ছিল অসাধারণ। কেকেআরের দুই ব্যাটসম্যান মণীশ পান্ডে ও রাজগোপাল সতীশের অসহায় অবস্থা। অবশ্য শেষ বলে চার মারেন মণীশ। ওই ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ম্যাচের চিত্র নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজ।
শেষ দুই ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ৩৩ । ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। ভাগ্য ভাল থাকলে প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন। তুলে মেরেছিলেন রাজগোপাল সতীশ, ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে বলটি গিয়ে পড়ে কিছুটা নো ম্যানস ল্যান্ডে। দ্বিতীয় বলটি ডট। পরের বলটিও তাই। চতুর্থ বলে ৪ মারেন জেসন হোল্ডার। পরের বলটি ফের ইয়র্কার। ঠেকিয়ে এক রান নেন হোল্ডার। ফিজের শেষ বলটিও ছিল ইয়ার্কার। ১৯তম ওভারে তিনি দেন মাত্র ৮ রান। ম্যাচের মোড় এভাবেই ঘুরিয়ে দেন কাটার বয়।