যে রাঁধে সে চুলও বাধে- অথ্যাৎ সব কাজে পটু। বাংলায় বিভিন্ন স্লোকে কথাটা ব্যবহার হলেও এর সঙ্গে মুস্তাফিজের সংযোগ টানা কেন? তবে তার আগে একটু বিশ্লেষণ করা যাক, মুস্তাফিজ বাঁ-হাতের ভেলকি দেখিয়ে বিশ্ব মাত করে বেড়াচ্ছেন। তাই বলে কী, কোমর দুলিয়ে নাচবেন? কিংবা বন্দুক হাতে তুলে নেবেন? সব কাজে পটু হলেও তো এমন করার কথা নয়!
পাঠক, কথাগুলো শুনে অবাক হচ্ছেন! আসলে মুস্তাফিজকে নিয়ে এমন কথা লিখলে তো অবাক হওয়ারই কথা; কিন্তু কথাগুলো যে মজা করার জন্য নয়, সিরিয়াসলি বলা। কারণ, সত্যি সত্যি মুস্তাফিজ কোমর দুলিয়ে নেচেছেন এবং বন্দুকও হাতে তুলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বোলিং ছেড়ে দিয়ে উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও পালন করলেন তিনি।
## ফাইনালে কোহলি-মুস্তাফিজদের সম্ভাব্য একাদশ
আগেরদিনই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে গুজরাট লায়ন্সকে হারিয়ে আইপিএল নবম আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললো সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। রোববার ফাইনালে মাঠে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেলো সানরাইজার্স হায়দারাবাদের ক্রিকেটারদের।
হায়দারাবাদের স্থানীয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেলো মুস্তাফিজদের। সময়টা অবশ্য প্লে অফ খেলার আগের ঘটনা। হায়দারাবাদের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে হায়দারাবাদের তিনজন করে ক্রিকেটারের একটি করে দল সময় কাটায়। মুস্তাফিজের সঙ্গে ছিলেন মইসেস হেনরিক্স এবং বিপুল শর্মা।
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে মজা করতে যাওয়ার পর প্রথমেই দেখা গেলো প্ল্যাকার্ডে লেখা মুস্তাফিজের নাম। তার নামে স্লোগান দিয়ে শিশুরাও মুস্তাফিজকে স্বাগত জানায়। এরপর মঞ্চে দেখা গেলো হেনরিক্স আর বিপুল শর্মার নাচ। মুস্তাফিজ বসে বসে হাসছেন। শিশুদের জন্য প্রতিকী চিহ্ন হিসেবে সাদা ব্যানারে হাতের চাপ দিতে দেখা গেলো তাকে।
হেনরিক্স, বিসলাসহ নানা কার্যক্রম দিয়ে শিশুদের মাতিয়ে তোলেন। এরই এক ফাঁকে দেখা গেলো মঞ্চে দুই শিশুর হাত ধরে নাচছেন মুস্তাফিজ। এর একটু পরই বিপুল শর্মার সামনে ব্যাট করতে দাঁড়িয়ে গেলেন হেনরিক্স। উইকেটকিপার হলেন মুস্তাফিজ। তিনি আবার আউটও করলেন হেনরিক্সকে।
শেষে দেখা গেলো বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি। না, কাউকে মারার উদ্দেশ্যে নয়, বেলুন ফাটানোর জন্য। আইপিএলে খেলতে গিয়ে যে বেশ মজার মধ্যেও আছেন মুস্তাফিজ, এ ভিডিও দেখলেই সেটা বোঝা যায়।