‘মি. আগলি’ ২০১৫

Mr-Ugly

Mr-Uglyজিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চতুর্থ ‘মি. আগলি’ প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় ‘মি. আগলি’ ২০১৫ খেতাব জয় করেন মিজন সেরে। ৪২ বছর বয়সী মিজন সেরের মুখের অদ্ভুত গড়ন ও সামনের বেশ কয়েকটি দাঁত না থাকায় তাকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন বিচারকরা।

তবে বিচারকররা পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন, এমন অভিযোগ এনে বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী ও দর্শক অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক হইচই শুরু করে দেন।

২০১২ সালের বিজয়ী উইলিয়াম ম্যাসভিনুর সমর্থকরা বিচারকদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়। তারা দাবি করেন, বিজয়ী সেরে মোটেও কুৎসিত নন। বরং দেখতে খুবই সুন্দর। তার এই কুৎসিত গড়ন প্রাকৃতিক নয়। আর দাঁত না থাকা কুৎসিত অবয়বের মানদণ্ড হতে পারে না।

ম্যাসভিনু বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবেই আমি কুৎসিত। সেরে এমনটা নন। তাকে কেবল মুখ খুললেই তাকে কুৎসিত দেখায়।’

আরেক প্রতিযোগী প্যাট্রিক মুপেরেকি চিৎকার করে বলেন, ‘তাহলে কি বিজয়ী হওয়ার জন্য আমাদের দাঁত ফেলে দিতে হবে? এটা এক ধরনের প্রতারণা।’

তবে প্রতিযোগিতায় পাঁচশ মার্কিন ডলার বিজয়ী সেরে সমালোচনার কোনো পাত্তা না দিয়ে বলেন, ‘সবারই এটা মেনে নিতে হবে, তাদের চেয়ে আমি বেশি কুৎসিত।’

এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এখন আমার লক্ষ্য টেলিভিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। ইতিমধ্যে আমি বিভিন্ন স্কুলে নিজেকে প্রদর্শন করেছি। এখন টেলিভিশ চ্যানেলে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই।’

অদ্ভুত এ প্রতিযোগিতা নিয়ে আয়োজক কিমিটির প্রধান ডেভিড ম্যাকোয়া সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য, যে কোনো ব্যক্তি কুৎসিত হতে পারেন, তবে সে যে কুৎসিত তা মন থেকে মুছে ফেলা। মানুষের চেহারা ঈশ্বরেরই সৃষ্টি। আমরা যেমনই হই না কেন, তা নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত।’

সমালোচনার বিষয়ে বিচারক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবিগেইল মাতারনায়েকা বলেছেন, ‘সেরে ভীষণভাবে তার কুৎসিত অবয়ব প্রদর্শন করতে পেরেছে। ম্যাসভিনুও কুৎসিত। তবে সে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার মতো যথেষ্ট চেষ্টা করেনি।’

এ বছর প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৬ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে যেখানে প্রতিযোগী ছিল মাত্র পাঁচজন। ২০১৪ সালে পৃষ্টপোষকতার অভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার হারারের একটি নাইট ক্লাব এক হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে।