মানুষের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি বিয়ে। বিশেষ এই দিনটি আরো স্মরণীয় করতে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠান। এখানে আগত অতিথিরা বর-কনের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ নানা রকমের উপহার নিয়ে আসেন।
তবে ব্যতিক্রমী এক বিয়ের খবর পাওয়া গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলায়। নগদ রুপি কিংবা কোনো উপহার নয় আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে রক্ত চেয়েছেন পাত্রী। প্রকৌশলী এই পাত্রীর নাম সৌমিতা মণ্ডল। চলতি মাসে তার বিয়ে ঠিক হয় প্রকৌশলী অর্পণ হাজরার সাথে। বিয়েতে সৌমিতা তার বাবা বা হবু স্বামীর কাছে কিছুই চাননি। তিনি শুধু তার বাবার কাছে একটি দাবি করেন, যেন বিয়ের দিন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আর নিমন্ত্রিত অতিথিরা যেন উপহারের বদলে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
বিয়ের আগে মেয়ের এই রকম ব্যতিক্রমী আবদার শুনে ঘাবড়ে যান বাবা সুবিনয় মণ্ডল। তবে যে মেয়ে আজ বাদে কাল পরের ঘরে চলে যাবে তার শেষ আবদার বলে কথা। সুবিনয় মণ্ডল স্থানীয় চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে সব ব্যবস্থা করেন। বিয়েতে আগত অতিথিরাও প্রথাগত উপহারের বদলে ব্যতিক্রমী এই উপহার দিতে পেরে খুশি হয়েছেন।
সৌমিতা বলেন, ‘আমার একমাত্র চাওয়া ছিল রক্তদান শিবিরের আয়োজন। আমার বাবা-মাকে বলেছি, কোনো গহনা বা অলংকার দেয়ার দরকার নেই। সবখানেই যখন রক্তের সংকট এর মাধ্যমে আমি সমাজের সেবা করতে চাই। আমি সাধ্যমতো করার চেষ্টা করেছি।’ বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ত্রিশ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথম রক্ত দান করেন সৌমিতার মা ডালিয়া। সৌমিতা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি হাসপাতালে এই রক্ত দান করা হবে।