watchজ্ঞানের আপেল! উঁহু! ভুল হলো! অ্যাপল আনল পৃথিবী জানার ঘড়ি। ঘড়ির দাম শুনলে চমকাবেন তো নিশ্চয়ই। খুব বেশি না, বাংলাদেশী মুদ্রায় মাত্র ২০ লাখ ৯২ হাজার টাকা ! কী ভাবছেন?

ঘড়ির দাম যখন এত, তার জ্ঞানের ভান্ডারও নিশ্চয়ই ততই বেশি হবে। সত্যিই তাই। কী নেই সেই ঘড়িতে। শুনলে মনে হবে কোনো জাদুকরের তৈরি এই স্মার্ট ঘড়ি। এখনও পর্যন্ত অ্যাপলের আনা সবচেয়ে দামি ঘড়ি অ্যাপল ওয়াচ এডিশন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, দিনক্ষণের খুঁটিনাটি হিসেব তো বটেই, ফোন কল, ইমেল, এমনকী ক্যালরিও মাপা যায় এই ঘড়িতে। কতক্ষণ এক্সারসাইজ করলেন, কত ক্যালরি ছিল, কত ক্যালরি খরচ হলো— সবটাই জানাবে এই জ্ঞানের ঘড়ি। এত কিছু এক সঙ্গে পেলে তার রেস্তো যে একটু বেশিই হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর হবে নাই–বা কেন ?

ঘড়ি মানেই তো শুধু সময় জানা নয়। এটা এখন ফ্যাশনও বটে। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে ঘড়িও পাল্টানো আধুনিকযুগের ট্রেন্ড। আবার নানান ধরনের ঘড়ির সংগ্রহে ওয়ার্ড্রোব সাজিয়ে তোলা অনেকেই পছন্দ করেন। অ্যাপলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশী মুদ্রায় অ্যাপেলের ঘড়ির নতুন এডিশনের দাম ২০ লাখ ৯২ হাজার টাকার কিছুটা বেশি।

ঘড়িটির ডায়ালের পিছনের অংশটি সম্পূর্ণ সোনার তৈরি। ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি অ্যাপল ওয়াচ এডিশন। তাই এর দাম সবচেয়ে বেশি। এই ঘড়ি জানাচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসও। অ্যাপল কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাপল আই ওয়াচের দাম শুরু ৩৪ হাজার টাকা থেকে। তবে যে সমস্ত আই ওয়াচগুলির ডায়াল সোনার তৈরি, তার দাম শুরু ৮ লাখ টাকা থেকে। অ্যাপলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এডিশন ঘড়ির দাম নির্ভর করে ডায়ালে কতটা পরিমাণ সোনা থাকবে তার ওপর। এখন পর্যন্ত এডিশন ঘড়িটিই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

রোজ গোল্ড রঙের ডায়ালে এই ঘড়ির ব্যান্ডের ২ রকম মাপ রয়েছে। একটি ৩৮ মিলিমিটার ও আরেকটি ৪২ মিলিমিটার। ৩৮ মিলিমিটার ব্যান্ডযুক্ত ঘড়ির দাম শুরু ৮ লাখ থেকে আর ৪২ মিলিমিটারের দাম ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। সাদা স্পোর্ট ব্র্যান্ডে রয়েছে ঘড়িটি। বিদেশের বাজারে ভালই চাহিদা রয়েছে এই ঘড়ির। অ্যাপলের মোট ১০০টি স্টোর আছে সারা দেশে। তবে স্টোরে গেলেই পাওয়া যাবে না এই এডিশন ঘড়ি। কিনতে চাইলে অর্ডার দিতে হবে। অ্যাপল স্টোরে অর্ডার দিলে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে পাবেন ঘড়িটি।

সুত্রঃ নয়া দিগন্ত