মানবতা বিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে।
এ খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই খবরটি ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ফলাও করে প্রচার করে।
ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পরপরই গুরুত্বের সঙ্গে ফলাও করে খবর প্রচার করে ভারতের পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, কলকাতার আনন্দবাজার, পাকিস্তানের ডন, জিও নিউজ, যুক্তরাজ্যের বিবিসি, রয়র্টাস, যুক্তরাষ্ট্রের এপি, সিএনএন, ইয়াহু নিউজ, ফ্রান্সের এএফপি, ফ্রান্সটোয়েন্টিফোর, কাতারভিত্তিক আলজাজিরা, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস, জার্মানির ডয়েচে ভ্যালে, ইরানের প্রেসি টিভি, রেডিও তেহরানের মতো সংবাদমাধ্যম। বিশ্বের প্রতিটি দেশের বড় সংবাদমাধ্যমে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের খবর স্থান পেয়েছে।
দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের খবরকে বিবিসি ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করে। তাদের খবরে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাধীনতার সংগ্রাম চলাকালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশে বিরোধী দলের দুই নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’
বিবিসি বাংলা তাদের অনলাইন ভার্সনের প্রচ্ছদে প্রধান খবরে শিরোনাম করেছে ‘শীর্ষ বিরোধীনেতা সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর।’
কাতারের আলজাজিরা ব্রেকিং নিউজে প্রচার করে ‘বাংলাদেশে দুই বিরোধীদলীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।
দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর ফলাও করে প্রকাশ করে এএফপি। তাদের ওয়েবসাইটে বড় করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাধীনতাযুদ্ধে সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশে বিরোধী দলের দুই জ্যেষ্ঠ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাদের প্রাণভিক্ষার আবদেন নাকচ হওয়ার কিছু সময় পরই এ দণ্ড র্কাযকর হয়।’
সাকা ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা খবর প্রকাশ করে শিরোনাম দেয় ‘ঢাকায় রাতেই ফাঁসি গণহত্যার দুই নায়ককের।’
রয়র্টাসও খবরটি ফলাও করে প্রচার করে। তারা শিরোনাম দিয়েছে ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধরে দায়ে বাংলাদেশের দুই বিরোধীদলীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।’
পাঠকের মতামত: