ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে তার স্বজনরা দেখা করেছেন।
রাত পৌনে ৮টার দিকে তারা কারাগারে প্রবেশ করেন। নিজামীর স্ত্রী সামনুন নাহার নিজামী, ছেলে অ্যাডভোকেট নজির মোমেনসহ পরিবারের সদস্য তার সঙ্গে দেখা করে রাত ৯টার দিকে কারাগার থেকে বের হয়ে যান। সেখানে তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করেন।
এরআগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনটি গাড়িতে করে বনানীর বাসা থেকে নিজামীর পরিবারের ২৬ জন সদস্য রওনা হন এবং রাত পৌনে ৮টার দিকে তারা কারাগারের গেটে এসে পৌঁছান। তারা একে একে কারাগারে প্রবেশ করেন। তবে তারা কতজন নিজামীর সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন তা জানা যায়নি।
স্বজনরা প্রবেশ করার পর একটি অ্যাম্বুলেন্স কারাগারে প্রবেশ করেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশের সড়কে সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদ রাজুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার মৃত্যুপরোয়ানা সোমবার রাতে নিজামীকে পড়ে শোনানো হয়। ফাঁসির কার্যকরের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।