চবি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক আবু কাইজার রনি’র বিয়ে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে।

সম্প্রতি নবগঠিত কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীদের আহ্বান করা আন্দোলনে রনি নেতৃত্ব দেওয়ায় ও তিনি ছাত্রলীগের পদ দাবি করায় সবার মাঝে এ বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ সূত্রমতে, রনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স বিভাগের ছাত্র। সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

গত ১৭ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাংগ কমিটিতে রনি পদ আশা করেছিলেন, কিন্তু পদ না পেয়ে অন্যান্য পদধারীদের সাথে তিনিও আন্দোলন শুরু করেন। এ আন্দোলনের ফলে গত বুধবার থেকে তিনদিনের জন্যে কার্যত অচল হয়ে পড়ে চবি ক্যাম্পাস।

এই আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে রনির বিয়ের কাবিননামা ও তার বউয়ের সাথে তার ছবি।

রনির অনেক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রনির বিয়ের প্রমাণাদি তুলে ধরে রনির বিবাহিত জীবনের সফলতা কামনা করেছেন।

Roni-CU BSL

গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপে পদ পাওয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।

এসময় পদ দেওয়ার জন্যে বিবেচনার লক্ষ্যে আন্দোলনকারীদের নামের তালিকা নিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন। সেই তালিকায় রনির নামও রয়েছে।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিবাহিত কেউ সংগঠনের পদ ধারণ করতে পারবে না।

এদিকে চবি ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে পদধারী বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রী বিবাহিত বলে জানা গেছে। তারা হলেন; সহ সভাপতি – মোঃ শামীম, আল মোকারম আহমেদ পলাশ, মোঃ নাজিম উদ্দিন, সহ সম্পাদক – কাজী সাফেয়াত উল্লাহ জনি ও সৈয়দা রোকসাত আলী তাজিন।

বিবাহিত এই নেতাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। এ অবস্থায় নতুন করে পদ দেওয়ার জন্যে নিয়ে যাওয়া তালিকায় বিবাহিত রনির নাম উঠে আসায় জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে চবি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, “বিবাহিত পদধারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারবে না।”