ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ খুব পেটে যন্ত্রণার কথা শিক্ষককে বলেছিল নবম শ্রেনীর ছাত্রীটি। শিক্ষক তখন তাকে ওয়াশরুমে যেতে বলেন এবং আরেক জন ছাত্রীকেও পাঠান। ওয়াশরুমে ঢুকেই যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ছাত্রীটি একটি সন্তানের জন্ম দেয়। সাথে থাকা
তার সহপাঠী ঘটনাটি দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানায় শিক্ষকদের। ওয়াশরুমে গিয়ে ছাত্রীটির ওই হাল দেখে শিক্ষকরাও ‘বোবা’ হয়ে যান। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠে তাঁরা ছাত্রীটির বাড়ির লোকের কাছে খবর পাঠান।
ঘটনাটি হায়দরাবাদের মাধেপুর এলাকার একটি স্কুলের।
স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারী সকলেই জানিয়েছেন মেয়েটিকে দেখে কখনই মনে হয়নি সে গর্ভবতী। ছাত্রীটির শ্রেনী শিক্ষক আবার বলেছেন, “সে খুব একটা মোটাসোটা নয়। খুব সাধারণ ভাবেই ক্লাসে আসত। কোলের উপর ব্যাগ রেখে বেঞ্চে বসত। কখনই মনে হয়নি ও প্রেগন্যান্ট।”
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ মেয়েটির এই অবস্থার জন্য দায়ী। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, এই ঘটনার কথা জেলা শিক্ষা দফতরে পৌঁছনোর পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা শিক্ষা আধিকারিক জানান, মেয়েটির বাবা-মা যদি বিষয়টি ঠিক ভাবে লক্ষ্য করত এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাত, তা হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।
এক সহপাঠী জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই একা একা থাকত ছাত্রীটি। সবাই যখন খেলাধুলা করলেও সে চুপ করে বসে থাকত।
সমাজসেবীরা বলছেন, এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল যে শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে সমাজ এখনও সচেতন নয়। মেয়েটির চারপাশে অনেক মানুষ ঘোরাঘুরি করেছে, অথচ কেউই বিষয়টি টের পেল না!
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।