আগামী ১০ ডিসেম্বর ভারতের হায়দরাবাদে গো-মাংস ভোজ উৎসবের ঘোষণা দিয়েছে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আর বিজেপি যেকোনো মূল্যে এই উৎসব বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। গরু রক্ষার্থে যে কাউকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির এক নেতা। এ নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন পড়েছে বিপাকে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে গো-মাংস উৎসব নিয়ে উভয় পক্ষই মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এই উৎসবের সমর্থনকারীরা আগামী ৭ ডিসেম্বর পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে মানববন্ধনের পরিকল্পনা করেছে।
অন্যদিকে বিধানসভার সদস্য রাজা সিং ও তাঁর সমর্থকরা উৎসবের দিনে মিছিল নিয়ে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পুলিশের উপকমিশনার লিম্বা রেড্ডি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বিষয় ও উদ্দেশ্যের ওপর যেকোনো বিক্ষোভ-সমাবেশের অনুমতি নির্ভর করে। যদি কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় তাহলে আমরা এ ধরনের কর্মসূচির অনুমতি দেই না।’
গো-মাংস ভোজ উৎসবের আয়োজকদের কয়েকজন বলেছেন, ‘আমরা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। কারণ আমাদের যা ইচ্ছে তা খাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
উত্তর প্রদেশের দাদরিতে গরুর মাংস রাখার গুজবে এক মুসলিম বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার পর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গরুর মাংস খেয়ে প্রতিবাদ জানান। ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে গরুর মাংস খাওয়ার উৎসব হয়। সম্প্রতি কেরালায় দুটি কলেজে গো-মাংস ভোজ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।