চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারেননি। কাদামাটি লেগে যাওয়া শরীরের উপরে অনেক ডালপালা, পচা পাতা পড়েছিল। সেদিন কোনও মতে কবরের বাইরে আসার পর পুরো ঘটনাটা পরিষ্কার হয়েছিল স্টেসি গুয়েলিমের।
অস্ট্রেলিয়ার বডিবিল্ডার কিথ হিউজেসের কাণ্ডকারখানা পড়লে যে কারোরই গা শিউরে উঠবে। যিনি নাকি বান্ধবী স্টেসিকে জীবন্ত কবরে পুঁতে দিয়ে এসেছিলেন। গোটা ঘটনাটা জানাজানি হওয়ার পর বর্তমানে হিউজেসের ঠিকানা আজীবন কারাগার। বান্ধবী স্টেসির উপর অত্যাচারের কারণে এর আগেও জেলে গিয়েছেন কিথ।
২০১৩ সালে তিন বছর নয় মাস জেলে কাটানোর পর এবার সারাজীবনের জন্যই ঢুকতে হলো অস্ট্রেলিয়ার এই বডিবিল্ডারকে। প্রকৃত পক্ষে কী ঘটেছিল সেদিন! স্টেসি তার নিজের মুখেই বলেন, দু’জনে একান্তে সময় কাটাবেন বলেই বেড়িয়েছিলেন সাউথ ওয়েলসের ক্যাসওয়েল বেতে। কিন্তু একথা সেকথার পর হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত।
এক পর্যায়ে মাথা গরম করে স্টেসির গলা চেপে ধরেন হিউজেস। নিমেষেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন স্টেসি। আর মারা গেছেন ভেবে, হিউজেস তাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে কবর চাপা দেন। হিউজেস পরে স্বীকার করেছেন যে, ফেরার সময় স্টেসির ব্যাংকের কার্ড এবং গাড়িটাও নিয়ে চলে এসেছিলেন। হিউজেস বলেন ‘দু’জনেই খুব চিৎকার করছিলাম।
পরিস্হিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। আমি ওকে শুধু শান্ত করতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও কিছুতেই তা মানছিল না। হিউজেস আগে ক্রীড়াক্ষেত্রে থাকলেও, বর্তমানে নামী চিত্রকর ও ডেকোরেটর। এসময় রেগে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি আরও বলেন ‘বারবার তাকে আঘাত করা ছাড়াও, অর্থ চুরির অভিযোগ দিচ্ছিলেন স্টেসি। হুমকি দিয়েছিলেন আবারও জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর এসব কথার প্রেক্ষিতেই বান্ধবীর উপর প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে গলা চেপে ধরেন কিথ হিউজেস।
সূত্র : ডেইলি মেইল ও দ্য মিরর
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।