লন্ডনে ১৮ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন সৌদি এক ধনকুবের। কিন্তু যে যুক্তির ভিত্তিতে আদালত তাকে খালাস দিয়েছে, সেটা স্থানীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এহসান আব্দুলআজিজ নামে এই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তিনি তার বাসায় ঘুমন্ত তরুণীটির গায়ের ওপর যখন দুর্ঘটনাবশত পড়ে যান, তখন তার লিঙ্গ হয়ত আন্ডারপ্যান্ট থেকে বের হয়েছিল।
“আমি পড়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু কিছুই ঘটেনি, মেয়েটির সাথে কিছুই হয়নি”, মি: আব্দুলআজিজ আদালতে বলেন।
বিবাহিত ও এক সন্তানের পিতা মিঃ আব্দুলআজিজ-এর বিরুদ্ধে লন্ডনের সাদার্ক ক্রাউন কোর্টে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে তিনি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন।
কিন্তু ৪৬ বছর বয়স্ক এহসান আব্দুলআজিজ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আঠারো বছরের ওই তরুণী এবং তার একজন ২৪ বছরের বান্ধবী লন্ডনের এক অভিজাত নৈশ ক্লাবে মিঃ আব্দুলআজিজ-এর সঙ্গে দেখা করেন।
মিঃ আব্দুলআজিজ ২৪ বছরের তরুণীটিকে চিনতেন প্রায় সাত মাস ধরে, ব্রিটেনের দ্য ডেইলি মেইল পত্রিকা বলছে। তিনি তাকে এবং তার বান্ধবীকে অভিজাত নৈশ ক্লাবে আমন্ত্রণ জানান।
সেখানে তিনি দুই তরুণীকে মদ কিনে দেন। এবং এরপর তাদের নিজের গাড়িতে করে বাসায় পৌঁছে দেবেন বলে প্রথমে পশ্চিম লন্ডনে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে নিয়ে যান।
নিজের ফ্ল্যাটেও তিনি দুই নারীকে আরো মদ্য পানীয় খেতে দেন। এবং এই সময়ে তিনি ২৪ বছরের তরুণীকে নিজের শোবার ঘরে নিয়ে যান তার শয্যাসঙ্গিনী হবার জন্য। আঠারো বছরের তরুণী সেই সময় ওই ব্যবসায়ীর বসবার ঘরে সোফায় ঘুমচ্ছিলেন। খুব ভোরবেলা ব্যবসায়ী তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন বলে ওই তরুণীটি অভিযোগ করেন, লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা বলে।
মিঃ আব্দুলআজিজ ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তরুণীটিই তাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছিল এবং অন্তরঙ্গ হতে উৎসাহ যুগিয়েছিল।
আদালতে তিনি আরো দাবি করেন যে তরুণীটির টানাটানিতে তিনি তার গায়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান এবং ‘দুর্ঘটনাবশত’ শারীরিক যোগাযোগ ঘটে।
সুত্রঃ বিবিসি
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।