winter-diseaseশীত শুরু হলেই জ্বর-সর্দি-কাশি সহ নানা অসুখ বিসুখ শুরু হতে থাকে। তবে সহজ কিছু নিয়ম মানলেই এসব থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

যদিও ঠাণ্ডাটা এখনো এতটা বেশি না কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনটা তো নিশ্চয় ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছেন৷ বাতাসে একটা শিরশিরে অনুভূতি দিয়েই জানান দিচ্ছে শীতকাল আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই৷

শীতের মরশুমে যেমন উপভোগ করার মতো অনেক কিছুই আছে, তেমনই আছে সময়ে অসময়ে জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কাও৷ তাই শরীর সুস্থ রাখতে একটু অতিরিক্ত সাবধানতা নিতেই হবে৷

বছরের যেকোন সময়ের চেয়ে শীতকালে মাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়৷ তাই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম যেন চাঙ্গা থাকে৷ তাহলেই অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়৷

একটু নিয়ম মেনে চললেই কিন্তু শীতকালেও আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত থাকবে৷ ই সময় বাজারে প্রচুর সবজি, ফল ওঠে৷ এদের অধিকাংশই ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ৷ ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে৷

এই সময় আমাদের তেমন পানির পিপাসা পায় না৷ তাই পানি পানের পরিমাণটা শীতকালে একটু কমেই যায়৷ কিন্তু রোজ রোজ এমন চলতে থাকলে তো ডিহাইড্রেশন হতে বাধ্য৷ ডিহাইড্রেশন থেকে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে৷ তাই পানির পিপাসা না পেলেও মনে করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান অবশ্যই জরুরি৷

রও একটা ব্যাপারে কিন্তু আমাদের সচেতন হতে হবে৷ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়৷ তাই ভালো ঘুম যাতে হয়, তা মাথায় রাখতে হবে৷

তাই পানির পিপাসা না পেলেও মনে করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান অবশ্যই জরুরি৷ একটু খেয়াল করে দেখবেন, শীতকালে আমাদের খাওয়া দাওয়াটা একটু বেশিই হয়ে যায়৷

শীতকালে অনেকেই পেশির ব্যথায় ভোগেন৷ প্রতিদিন এক্সারসাইজ করুন৷ তাতে রক্ত সঞ্চালন যেমন ভালো হবে, তেমন শরীরের পেশিগুলি অনেক নমনীয় থাকবে৷ তাই মাসল পেন তেমন কাবু করতে পারবে না৷ আর ওজন তো নিয়ন্ত্রিত থাকবেই৷

আরও একটা ব্যাপারে কিন্তু আমাদের সচেতন হতে হবে৷ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়৷ তাই ভালো ঘুম যাতে হয়, তা মাথায় রাখতে হবে৷

শীতকালে ত্বকের যত্ন নেয়াটাও খুব জরুরি৷ এই সময়ে আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়৷ শুষ্ক ত্বক থেকেও নানা ধরনের সমস্যা হয়৷ তাই ত্বক যাতে হাইড্রেটেড থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন৷ সবশেষে বলব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিতে৷ শীতকালে জীবাণুর সংক্রমণ বছরের অন্য সময়ের তুলনায় একটু বেশিই হয়৷ তাই সাবধান থাকুন৷

ঘরোয়া ভাবেই সুস্থ থাকতে পারেনঃ

ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি কমাতে বাড়িতেই এমন অনেক উপকরণ আছে, যা চটজলদি আরাম পেতে কাজ দেয়৷

আমরা সবাই সকালে উঠে চা বা কফি খাই৷ শীতকালে গরম চা বা কফিতে চুমুক দেয়ার আরাম সত্যিই উপভোগ্য৷ তবে সাধারণ চা-এর বদলে গ্রিন টি খেতে পারেন৷ গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে৷ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে৷

সর্দি-কাশি হলে গরম পানির ভাপ নিলেও অনেকটা উপকার হবে৷ গরম পানিতে যদি একটু ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে ভাপ নেন, আরও দ্রুত উপকার পাবেন৷

সব সময় মনে রাখবেনঃ

১) ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে মরশুমি ফল ও সবজি রাখুন৷ নিয়ম করে পর্যান্ত পানি পান করুন।

২) শীতকালে আলসেমি করে ওয়ার্ক আউট বাদ দেবেন না।

৩) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপরে গুরুত্ব দিন।

৪) পর্যান্ত ঘুম যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা করুন।

৫) জ্বর সর্দি কাশিতে আরাম পেতে ঘরোয়া টোটকার ব্যবহার করুন।