শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্প খাতে বিনিয়োগে উন্নয়নে জাপানী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাপানের উদ্যোক্তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ আগামীতে বাংলাদেশের শিল্প খাতকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো । শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের প্রসেস লাইসেন্সর হিসেবে ডেনমার্ক, ইতালি, জার্মানি ও জাপানের মত উন্নত দেশ জড়িত থাকায় সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন এবং বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নির্ভর একটি সার কারখানা বাংলাদেশ স্থাপিত হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সার উৎপাদনে দেশকে স্বনির্ভর করতে কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও সার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে উচ্চ উৎপাদনশীল এই সারকারখানাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কারখানাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে আগামী দিনে কৃষকদের আরও কম মূল্যে সার সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশ ও জাপানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জাপানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে নির্মিতব্য নতুন সার কারখানাটি দুই বন্ধু প্রতিম দেশের মাঝে সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হাইয়ুল কাইয়ুম, জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি)’র ডেপুটি গভর্নর নবুমিতসু হায়াশি, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফ্রাঁসোয়া দ্য মেরিকো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১০ হাজার ৪৬০ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানাটি নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সরকার এক হাজার ৮৪৪ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা প্রদান করবে। অবশিষ্ট আট হাজার ৬১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি), ব্যাংক অব টোকিও-মিতসুবিশি ইউএফজি (এমইউএফজি) ও বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি’ হতে চুক্তির আওতায় ঋণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যমান ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির প্রতিস্থাপন হিসেবে এই সার কারখানাটি নির্মাণ করা হবে।
নতুন সার কারখানাটি পুরাতন দুইটি সার কারখানার সমপরিমাণ গ্যাস ব্যাবহার করে বর্তমানের যৌথ উৎপাদনের তিনগুণেরও বেশি দৈনিক ২ হাজার ৮শ’ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন করবে।
জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ও চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার কারখানাটি নির্মাণ করবে। ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে বিসিআইসির সঙ্গে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দুইটির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। খবর:বাসস
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।