জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী বাঁধনের বিচ্ছেদ হয় বিয়ের পাঁচ মাস পরই। মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। বিচ্ছেদের এ খবর এখন কারো অজানা নয়। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, বিচ্ছেদের খবর কেন বাঁধন গোপন রেখেছিলেন এতদিন!
এ প্রসঙ্গে বাঁধনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার আর মাশরুরের আলাদা থাকার বিষয়টা আমি চাইনি কেউ জানুক। তবে আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, কাছের মানুষরা অনেকেই বিষয়টা জানত। আর খবর গোপন রাখার পেছনে শুধু একটি কারণই ছিল। তা হলো, আমি চাইনি আমার মেয়ের মনে এর প্রভাব পড়ুক।
কারণ, আমাদের আলাদা থাকার কারণ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হলে আমার মেয়ে সায়রাকে অনেকেই এ বিষয়ে প্রশ্ন করত। যেহেতু সায়রা বয়সে এখন অনেক ছোট, এই বিষয় ওর মেনে নিতে কষ্ট হতো। সায়রার বয়স এখন চার বছর। চলতি বছরেই সায়রা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। ওর স্কুলের ভর্তির জন্য মূলত আমি অপেক্ষা করছিলাম।’
ভেঙ্গে গেল লাক্স তারকা বাঁধনের সংসার
মেয়ের সঙ্গে কি বাবার যোগাযোগ আছে? না সেটাও একেবারে বিচ্ছিন্ন? বাঁধন উত্তরে বলেন, ‘সায়রার সঙ্গে কিন্তু ওর বাবার যোগাযোগ আছে। আমি নিজেই চেয়েছি, সায়রার সঙ্গে ওর বাবার যোগাযোগ থাকুক। কারণ আমি চাই না, সায়রা ওর বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হোক। বাবা-মেয়ে দুজনের নিয়মিত কথা বলে, তাদের দেখাও হয়। যেহেতু সায়রা ওর জন্মের পর থেকেই নানুর বাসায় আছে, তাই মা-বাবার আলাদা থাকার বিষয়টি এখনো ও বুঝে উঠতে পারেনি।’
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ভালোবেসে মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী। এদিকে স্বামীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে কি না, এ বিষয়ে বাঁধন এখনো সরাসরি কথা বলেননি। শুধু বলেছেন, তাঁরা আলাদা থাকছেন। মানসিক দূরত্বও তৈরি হয়েছে। বাঁধন ভেবেছিলেন, সন্তান জন্মের পর হয়তো মানসিক দূরত্ব কেটে যাবে। তাই বিয়ের পরপরই দ্রুত সন্তান নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সন্তান জন্মের পরও এই দূরত্ব কমেনি, বরং বেড়েছে।
সুত্রঃ এনটিভিবিডি
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।