স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ ব্যবসা

businessব্যবসা শুরু করতে অনেক পুঁজি লাগে কথাটা মোটেও ঠিক নয়। অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো খুব কম পুঁজিতেই শুরু করা যায়। এই ব্যবসাগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটি সাধারণ স্তরে থাকা সকল উদ্যোক্তা তা করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন স্বল্প পুঁজির এমন কিছু ব্যবসায় সম্পর্কে-

হোম ক্যান্টিন: যেখানে জনসংখ্যা অধিক সেখানে কাজকর্মও বেশি। বেশি থাকে অফিস বা প্রতিষ্ঠান। কাজের চাপে অনেকেই দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য অফিসের বাইরে যেতে পারে না। তাই আপনি বিভিন্ন অফিসে খাবার সরবরাহ করার জন্য হোম ক্যান্টিন খুলতে পারেন। এজন্য বাসাতেই রান্না করতে পারবেন। অতঃপর তা অর্ডার অনুযায়ী যথা সময়েই অফিসে পৌঁছে দিবেন।

স্টেশনারি/লাইব্রেরি: বই-পুস্তক, খাতা-কলমের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উন্নতির সাথে সাথে বাড়ছে অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এর সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও। এসব প্রতিষ্ঠানে রেজিস্টার খাতা, পেন্সিল, কলম, ফাইল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। স্টেশনারিতে এই সব প্রয়োজনীয় খাতা, কলম, পেন্সিল, স্কেল ইত্যাদি পাওয়া যায়।

কাপড় সেলাইয়ের কাজ: বর্তমানে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সৌখিন নারী-পুরুষেরা বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় পরার প্রতি আগ্রহী। তাই পোশাক কেনার পাশাপাশি তারা দর্জির কাছ থেকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মাপ ও ডিজাইন দিয়ে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে নেয়। এ কারণে কাপড় সেলাই বা দর্জির চাহিদা সব সময়ই থাকে।

বিউটি পার্লার: ‍মেয়েদের জন্য সবচেয়ে ভাল ও সহজ ব্যবসা হচ্ছে এটি। মাত্র ২-৩ মাসের বিউটিশিয়ান কোর্স করার পর একটি পার্লার খুলতে পারেন। পার্লার ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না।

জিম: আজকাল প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বাস্থ্য ধরে রাখতে চায়। এজন্য অনেকেই জিমে যান। এটাকেই আপনি সুযোগ হিসেবে নিতে পারেন। একটি ভাল স্থান দেখে খুলে ফেলুন ব্যবসা। পুঁজি কম হওয়ায় অল্প কিছু ইন্সট্রুমেন্ট কিনে শুরু করুন। শুরুতে ফি কমিয়ে রাখুন। পরে ইন্সট্রুমেন্টের সঙ্গে সঙ্গে ফি বাড়ান। তবে শুরুতে ফি কম ধরলে গ্রাহক পেতে সমস্যা হবে না। অনেকেই আছেন যারা জিমে যেতে চান, কিন্তু আধুনিক জিমে ফি বেশি হওয়ায় যেতে পারেন না। চাহিদা বাড়লে, উপার্জন বাড়লে বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে ফেলুন।

কম্পিউটার/ল্যাপটপ মেরামত: যদি আপনি কম্পিউটার, ল্যাপটপ মেরামত করতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য একটি ভাল ব্যবসা হবে। যদি না পারেন তবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সরকারীভাবেও প্রশিক্ষণ নেয়া যায়। মাত্র ৩-৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েই কম্পিউটার মেরামতের ব্যবসা খুলতে পারবেন।

মুদি দোকান: আপনার পুঁজির স্বল্পতা আছে। তাই একটা মুদির দোকান দিতে পারেন। এই ব্যবসার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে এতে অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তা লাগবে না। যেখানে দোকান কম কিন্তু বিক্রি হবে বেশি এমন স্থান পছন্দ করবেন।

মোবাইল ফোনের দোকান: আজকাল দেশের প্রায় লোকই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবসা খুবই লাভজনক হচ্ছে। প্রথমে ছোট পরিসরে অল্পকিছু মোবাইল নিয়েই একটা দোকান খুলুন। আস্তে আস্তে দোকান বড় করতে থাকবেন। এরপর ফোনের এক্সেসরিজ বিক্রি করবেন।

জেনারেল স্টোর: জেনারেল স্টোর বা মালামালের ব্যবসা খুবই লাভজনক। এসব দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন- সাবান, শ্যাম্পু, সৌন্দর্য প্রসাধনী, কলম, খাতাপত্র ইত্যাদি রাখবেন। এই ব্যবসায় পুরুষের সঙ্গে নারীরাও কাজ করতে পারবে।

উপহার সামগ্রীর দোকান: উপহার সামগ্রী, বাচ্চাদের খেলনা, ফুলের দোকান ইত্যাদির ব্যবসা খুলতে পারেন।