বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যেখানেই গ্রেফতার সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। থানায় নিলে থানা ঘেরাও করতে হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনে নীল নকশায় জড়িত তাদের তালিকা করে জনসম্মুখে উন্মুক্ত করতে হবে।
সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই আওয়ামী লীগ এখন প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল। স্থানীয় পর্যায়ে যে সব নির্বাচন হচ্ছে তাতে আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই। সব পরিচালনা করছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি আর গোয়েন্দা সদস্যরা।
সিলেটে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার বন্ধ করতে আবারও গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন গ্রেফতারের জন্য নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে আগুন, রাজশাহীতে ককটেল হামলা তাদের নতুন কৌশল।
এখন থেকে যেখানে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হবে সেখানেই প্রতিরোধ এবং থানায় নিলে থানা ঘেরাও করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন সম্পাদকের ওপর হামলা অত্যান্ত দুঃখজনক। এ ধরনের হামলা সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করবে।
তিন সিটি নির্বাচনে গ্রেফতার আতঙ্ক, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা এবং জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদ উদ্দিন, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।