jack-simardপ্রেম যেমন জীবন কেড়ে নেয় সেই প্রেমই আবার জীবন দেয়। মানুষের জীবনে প্রেমের অবদান কতখানি তা বলে দেয়া মুশকিল। তবে এটা বলা যায় কেউ তার জীবন চিন্তা করতে পারেন না প্রেম ছাড়া। তাই প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অন্যকে ভরিয়ে দেন নানা উপহারে ৷ আর সে উপহার যদি কিডনি হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই।

প্রেমিককে বাঁচাতে এমনই এক উপহার ঠিক করেছেন এক প্রেমিকা ৷ ৪৯ বছর বয়সী জ্যাক সিমার্ডকে কিডনি উপহার দিয়েই ভালোবাসা দিবসে সেলিব্রেট করবেন তাঁর প্রেমিকা মিশেল লাব্রাঞ্চ।

৪৯ বছর বয়সে হ্যামসফায়ারের বাসিন্দা এই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হচ্ছে ৷ দিন ঠিক হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ৷ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তাঁকে কিডনি দিচ্ছেন।

তবে চিকিৎসকরা নানা বিষয় খতিয়ে দেখে এ অনুমতি দেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও অবাক হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। তারা জানিয়েছেন সমস্ত শর্ত পূরণ হয়েছে। পারফেক্ট ম্যাচ কথাটা যে শুধুই কথার কথা নয়, তাও যেন আরও একবার দেখা গেল।

১৯ বছর বয়সে সিমার্ডের প্রথমবার কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। তখন কিডনি দেন তাঁর বোন। দ্বিতীয়বার আবারও তার প্রয়োজন হলে, কিডনিদাতার খোঁজ শুরু করেন তিনি। মাইকেল তথন নিজেই টেস্ট করান। দেখেন তিনি প্রেমিককে কিডনি দিতে পারবেন কি না। ডাক্তারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মাত্র সিদ্ধান্ত নেন, প্রেমিককে ভালোবাসা দিবসে কিডনি উপহার দেবেন।

সত্যিই এমন প্রেমই তো আমরা চাই। আধুনিক সভ্যতার এই সময়ে এমন প্রেম কয়জনের কপালে জুটে! অভিনন্দন সিমার্ড ও মিশেল।