mustafizপ্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে শেষমেষ। বাংলাদেশের নতুন বিস্ময় মুস্তাফিজই কি হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সেরা বাঁহাতি পেসার? পরিসংখ্যান ঘেঁটে এবং ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বাঁহাতি পেসারদের শুরুর সময়গুলো বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া যাচ্ছে, তা কিন্তু কথা বলছে মুস্তাফিজের পক্ষেই।

ইতিহাসের সেরা বাঁহাতি পেসার মনে করা হয় ওয়াসিম আকরামকে। ‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত এই পাকিস্তানি কিংবদন্তী ৩৫৬ ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৫০২ উইকেট। আর কোনো বাঁহাতির ৫০০ উইকেটের ধারেকাছে আসার নজির নেই। ডানহাতি- বাঁহাতি মিলিয়ে ওয়াসিম আকরামই ওয়ানডেতে ৫০০-এর বেশি উইকেট নেয়া একমাত্র পেসার।

আকরামের পরই নাম আসছে লঙ্কান পেসার চামিন্দা ভাসের। ৩২২ ম্যাচ খেলে এই পেসারের শিকার ঠিক ৪০০ উইকেট। ২০০ ম্যাচে ২৮২ উইকেট নিয়ে তার পরই আছেন ভারতের পেসার জহির খান। কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানা জহির দীর্ঘদিন ভারতের এক নম্বর পেসার ছিলেন।

পাঁচজন ইতিহাস সেরা বাঁহাতি পেসারের তালিকায় পরের দিকে আসবে মিচেল জনসন এবং নাথান ব্র্যাকেনের কথা। ১৫৩ ওয়ানডে খেলে জনসনের শিকার ২৩৯ উইকেট। ২০০৯ সালের পর আর ওয়ানডে না খেলা নাথান ব্র্যাকেন ১১৬ ম্যাচে পেয়েছেন ১৭৪ উইকেট।

এই পাঁচজনের ক্যারিয়ারের প্রথম নয়টি ম্যাচের বিচার করলে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন মুস্তাফিজ। ওয়াসিম আকরাম তার ক্যারিয়ারের প্রথম নয় ম্যাচে নিয়েছিলেন মাত্র দশ উইকেট। মুস্তাফিজের মতো আকরামও প্রথম নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তবে সেটা মুস্তাফিজের মতো অভিষেকে না; তৃতীয় ম্যাচে। প্রথম নয় ম্যাচে আকরামের পাঁচ উইকেট ছিলো একবার। মুস্তাফিজ তিনবার পাঁচ উইকেটসহ নয় ম্যাচে শিকার করেছেন ২৬ উইকেট!

প্রথম নয় ম্যাচে চামিন্দা ভাসের উইকেট ছিলো মাত্র ছয়টি! পাঁচ উইকেট ছিলো না একবারও। নয় ম্যাচে মুস্তাফিজ তিনবার পাঁচ উইকেট পেলেও চামিন্দা ভাস প্রথমবার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তার ক্যারিয়ারের ১৪৪তম ম্যাচে এসে! ৩২২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ভাস ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন মাত্র চারবার।

প্রথম নয় ম্যাচ শেষে জহির খানের শিকার ছিলো ১৫ উইকেট। ভারতের এই পেসার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ক্যারিয়ারে মাত্র একবার। সেটাও ১১৬তম ম্যাচে এসে। অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল জনসন তার ক্যারিয়ারের প্রথম নয় ম্যাচে পেয়েছেন ১৪ উইকেট। পাঁচ উইকেট ছিলো না একবারও। ক্যারিয়ারের ২৩তম ম্যাচে এসে প্রথমবার পাঁচ উইকেট পান জনসন। বাঁহাতি পেসারদের ইতিহাসে পঞ্চম সেরা নাথান ব্র্যাকেন তার প্রথম নয় ম্যাচে পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। তারও নয় ম্যাচে কোনো পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির ঘটনা নেই। ব্র্যাকেন প্রথম পাঁচ উইকেট পান ৩৬তম ম্যাচে এসে। ক্যারিয়ারে মোট দুইবার পাঁচ উইকেট পান তিনি।