আমাদের দেশে সাধারণত এ ধরনের প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শরনাপন্ন হয়। কিন্তু ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদের জন্য টাকা দিতে চায় না, বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের সব ঋণ কার্যক্রমই স্বল্পমেয়াদী। তাছাড়া ব্যাংকগুলো কোম্পানির কাছ থেকে তাদের লগ্নিকৃত অর্থ সময়মতো ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি পেলেই ঋণ দেওয়ার কথা ভাবে। এর বাইরে, কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের পূর্ববর্তী ব্যবসায়িক সফলতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হয়। এরপর যদি ওই ব্যবসা ভবিষ্যতে ভাল করবে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস জন্মে তবেই তারা ঋণ ছাড়ের কথা চিন্তা করে।
এ তো গেল ঋণ পাওয়ার পূর্বশর্ত। ঋণ পাওয়ার পর শুরু হয় শর্তের বেড়াজাল মেনে চলার ঝক্কিঝামেলা এবং সময়মতো ঋণ ফেরত দেওয়ার চাপ। বাংলাদেশে এই চাপ আরও বেশি। কারণ এদেশে ব্যাংকঋণের বিপরীতে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। উচ্চহারে সুদসহ ঋণের টাকা জমা দেওয়া এবং পরিচালনা ব্যয় মেটাতে গিয়ে নতুন ব্যবসাগুলো উঠে দাঁড়াতে পারে না। অনেক সময় নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসার মূলধনে হাত দিতে বাধ্য হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।